স্বদেশ ডেস্ক:
আগামীকাল বৃহস্পতিবার ভারতের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। ইন্দোরে বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টায় ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ দলের ভাবনায় ভারতের বোলিং। দক্ষিণ আফ্রিকা যেখানে ভারতকে মোটেও বিপাকে ফেলতে পারেনি, সেখানে বাংলাদেশ কী করবে সেটাই প্রশ্ন। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ জিততে ২০ উইকেট প্রয়োজন। বাংলাদেশের বোলারদের সে যোগ্যতা কি আছে?
টি-২০ ক্রিকেটের মেজাজ আর টেস্টের মেজাজে রাত-দিন পার্থক্য। পাঁচ দিনের ম্যাচে ধৈর্য্য ধরে ক্রিকেট খেলাটাই মূল। তবে বাংলাদেশের একটা দুঃসহ স্মৃতি রয়েছে। সর্বশেষ টেস্ট ম্যাচে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে তারা আফগানিস্তানের বিপক্ষে। বিশেষ করে আফগান স্পিন সামলাতেই পারেনি। রশিদ খানরা বলেকয়েই চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশকে হারিয়েছে। সে তুলনায় ভারতের অ্যাটাক তো অনেক শক্তিশালী। তাহলে তাদের মোকাবেলা করবেন তারা কিভাবে?
ব্যাট হাতেও থাকছেন ভারতের দায়িত্বশীল একঝাঁক ব্যাটসম্যান। বিরাট কোহলিরা, আজিদকা রাহনে, রোহিত শর্মা, রবিচন্দ্রন আশ্বিন, মোহাম্মদ সামি, ইশান্ত শর্মা, রবীন্দ্র জাদেজা, চেতশ্বর পুজারা প্রমুখদের তাদের মাটিতেই মোকাবেলা করাটা কতটা ভয়াবহ সেটা দক্ষিণ আফ্রিকা টের পেয়েছে। তাই বলে বসে থাকছে না বাংলাদেশও। সর্বস্ব দিয়েই লড়বে তারা।
তবে আপাতত বাংলাদেশ দলের টেনশন ভারতীয় স্পিন। মঙ্গলবার অনুশীলন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান মোহাম্মাদ মিথুন। বলেন, ‘আমাদের প্রস্তুতিতে মূলত ভারতীয় স্পিন সামলানো নিয়েই প্রস্তুতি হয়েছে বেশি। আমরা জানি ওদের দল কতটা শক্তিশালী। এরপরও আমরা ওদের স্পিন নিয়েই বেশি ভাবছি।’
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘ওদের পেস অ্যাটাকের চেয়ে স্পিনটা বেশি শক্তিশালী। ওটা কিভাবে সামলাবো সেটাই ভাবছি।’
উইকেটের কন্ডিশন তুলে ধরে মিথুন বলেন, ‘এখানকার উইকেট যেমন সেটা হলো প্রথম ১-২ দিন পেসের কার্যকারিতা থাকে। তৃতীয় দিন থেকেই শুরু স্পিনারদের দাপট। সেটা সামলাতে বিভিন্ন টেকনিক্যাল বিষয় নিয়ে আমরা কাজ করছি।’
প্রতিপক্ষের ২০ উইকেট নেয়া সম্ভব বলেও জানান এ ব্যাটসম্যান। তিনি বলেন, ‘আমি ব্যাটসম্যান। আমি এটাও জানি, আমার আউট হতে ভালো একটা বলই যথেষ্ট। এটা তো সব ব্যাটসম্যানের বেলায়ই প্রযোজ্য। আমরা যদি চাপ সৃষ্টি করতে পারি। আমাদের বোলিং স্কোয়াড যদি সুশৃঙ্খল বোলিং করতে পারে, তাহলে অবশ্যই (প্রতিপক্ষকে অলআউট) সম্ভব।’
টি-২০ সিরিজের মতো টেস্টেও নেই তামিম ইকবাল। নিষিদ্ধ সাকিব আল হাসান।
মোহাম্মদ মিথুন বলেন, ‘নিঃসন্দেহে সাকিব-তামিম সেরা খেলোয়াড়। তারা তো এখন নেই। তাই বলে বসে থাকলে তো চলবে না। আমরা যারা রয়েছি, আমাদের চেষ্টা করতে হবে সে ঘাটতি পুষিয়ে দিতে।’
টি-২০ সিরিজের মতোই ভালো কিছু করে দেখাতে দৃঢ়তা দেখালেন এ ব্যাটসম্যান। তিনি বলেন, ‘টি-২০ সিরিজে কেউই ভাবেনি ওদেরকে আমরা হারাব। এবং সিরিজ জয়ের জন্য ওদের ওপর আমরা চাপ সৃষ্টি করতে পারব। বাস্তবে কিন্তু তাই হলো। আমরা মাঠে নামি জয়ের জন্যই। সেটা সর্বস্ব দিয়েই।’
এদিকে স্কোয়াডে থাকার পরও সেমাবার দেশে ফিরেছেন মোসাদ্দেক হোসেন। পারিবারিক কারণে দেশে ফিরেছেন তিনি। তবে টেস্ট শুরুর আগেই ভারতে যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের টেস্ট দল : সাদমান ইসলাম, ইমরুল কায়েস, সাইফ হাসান, মুমিনুল হক (অধিনায়ক), লিটন দাস, মুশফিকুর রহিম, মোসাদ্দেক হোসেন, মাহমুদুল্লাহ, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ মিথুন, তাইজুল ইসলাম, নাইম হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান, আল-আমিন হোসেন, আবু জায়েদ ও এবাদত হোসেন।